পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার উত্তর সোলাবাড়িয়া গ্রামের মাঠে বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট ঈশ্বরদী উপকের্ন্দের আয়োজনে “স্বল্প মেয়াদী ও অধিক ফলনশীল বিনা সরিষা-৪ এবং বিনা সরিষা-৯ উৎপাদন” সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এক মাঠ দিবস আজ ১৯ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হয়।
ভোজ্য তেলের ঘাটতি ও আমদানী নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে স্বল্প মেয়াদী, অধিক উৎপাদনশীল বিনা -৪ এবং বিনা-৯ সরিষার বহুল প্রচার ও চাষীদের মাঝে এর আবাদ কৌশল জনপ্রিয় করাই ছিল এই মাঠ দিবসের মূল উদ্দেশ্য। আশপাশের গ্রামের কয়েকশত চাষীকে মাঠ দিবসের মাধ্যমে একত্র করে প্রর্দশনী প্লটে এই সরিষার চাষাবাদ কৌশল,আন্তঃ পরিচর্যা,ফসলের বাস্তব অবস্থা ইত্যাদি সরেজমিনে দেখানোর মাধ্যমে কৃষকদেরকে এই সরিষার সমস্ত লাভজনক দিক প্রত্যক্ষ করানো হয়। এজন্য চাষিরা খুশি হয় এবং চাষকরার উৎসাহ বোধ করেন।বিনা ঈশ্বরদি উপ কেন্দ্রের উদ্ধর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মো. রোকনুজ্জামান এর সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনাস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ বিভূতি ভূষণ সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিনা ময়মনসিংহস্থ প্রধান কার্যালয়ের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.আব্দুল মালেক, সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রঞ্জন কুমার প্রামানিক ও কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা এটিএম ফজলুল করিম ।
বিশাল এই মাঠ দিবসের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত চাষী সমাবেশে বক্তৃতায় প্রধান অতিথি কৃষিবিদ বিভূতি ভূষণ সরকার বলেন, ভোজ্য তেলের আমদানী নির্ভরতা কমানোর জন্য বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত বিনা সরিষা-৪ এবং বিনা সরিষা-৯ চাষীদের মধ্যে আবাদের জন্য সরকার ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করেছেন। এই জেলার প্রত্যেক উপজেলায় এই সরিষার জাত সমূহ আবাদের জন্য চাষীদের মধ্যে প্রর্দশনী প্লটের মাধ্যমে এর বিস্তার ঘটানোর প্রচেষ্টা চলছে। প্রচলিত দেশী জাতের চেয়ে এই জাতগুলি স্বল্প মেয়াদী, অধিক ফলনশীল এবং এই জাতে তেলের হারও বেশী। সরকারের সুদক্ষ নেতৃত্বে, যথাযথ পদক্ষেপে, কৃষি বিভাগের নিরন্তর পরামর্শে এবং আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন। সরকারী ভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে তেল, ডাল এবং মসলা জাতীয় ফসলে স্বয়ংসম্পন্নতা অর্জন করা । তিনি আরো বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শ গ্রহণ করে অধিক উৎপাদনশীল জাত সমূহ যথাসময়ে যথাযথভাবে আবাদের মাধ্যমে আমাদের ভাগ্য আমাদেরকেই পরিবর্তন করতে হবে। বিনা ময়মনসিংহস্থ প্রধান কার্যালয়ের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.আব্দুল মালেক তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট নিত্য নতুন ফসলের বিভিন্ন জাত এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে চলেছে যা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ তৃণমূল পর্যায়ে কৃষকদের কাছে পৌছানোর জন্য সর্ববিধ চেষ্টা করছে। তিনি উপস্থিত চাষীদেরকে নতুন জাত প্রযুক্তি ব্যবহার করে উপকৃত হওয়া এবং দেশের তেল খাদ্য আমদানী করা থেকে রক্ষাকরে রপ্তানী মুখী করার উদাত্ত আহ্বান জানান।